অস্তিত্ব রক্ষায় প্রাণের বাংলা ভাষা
ফারিহা তাসনিম
ভূমিকা : ভাষা হল মনের ভাবের বাহক। ভাষার মাধ্যমে আমরা মনের ভাবের আদান-প্রদান করে থাকি। মাতৃভাষা আমাদের বাংলা ভাষা মাতৃদুগ্ধসমান। মাতৃভাষার মাধ্যমে আমাদের মনের ভাবের আদান-প্রদান শিক্ষালাভ ও শিক্ষাদান যতটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে হতে পারে তেমনি অন্য ভাষার নৈপুণ্য অর্জন করলেও সম্ভব নয়। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা ভাব প্রকাশের সর্বোৎকৃষ্ট বাহন।
আমাদের প্রাণের ভাষা বাংলা। আমাদের বাংলা ভাষার সাথে এখন মিশে গেছে ইংরেজী, হিন্দি, ফারসী, পর্তুগীজ, উর্দু সহ অনেক ভাষা। আমাদের সমাজ বর্তমানে ইংরেজী ভাষাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। আবার বাংলা ভাষা যেটুকু ব্যবহার করছি ততটুকু আবার ইংরেজী আদলে ব্যবহার করছি। এভাবে চলতে থাকলে কালের বিবর্তনে আমাদের মনের ভাষা, প্রাণের ভাষা এক সময় বিলুপ্ত হতে পারে।
বাংলা ভাষা হারিয়ে যাওয়ার কারণ:
১. বাংলা ভাষাকে সঠিকভাবে ব্যবহার না করা।
২. নতুন নতুন ভাষার বা শব্দের হালনাগাদ না করা।
৩. বাংলা ভাষা বা শব্দটি কেন হারিয়ে যাচ্ছে সেটি শনাক্ত না করা।
৪. নিজেদের ভাষা বা শব্দ ব্যবহারে অন্য ভাষার প্রাধান্য বা বিকল্প ভাষা ব্যবহার করা।
৫. আঞ্চলিক ভাষা হিসাবে বাংলা ভাষাকে অবমূল্যায়ন বা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা।
বাংলা ভাষাকে কিভাবে বাঁচাবেন?
১. বাংলা ভাষা বা শব্দের সহজ রূপদান করা যেমন: মোবাইল অর্থ মুঠোফোন হিসাবে কিছু দিন ব্যবহার হলেও এখন আর তেমন ব্যবহার নেই। তাছাড়া কম্পিউটার, টর্চ লাইট, মেমোরি কার্ড, লিফট ইত্যাদি নতুন শব্দের নতুন রূপ তেমন দেখা যায় না। তাই ইচ্ছা অনিচ্ছায় অন্য ভাষার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয়।
২. নতুন ভাষা বা শব্দ হালনাগাদ বা সহজ রুপদান করলেই হবে না, সেগুলো সাধারন মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য ভালো ভাবে প্রচার প্রচারণা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. দেশের ভিতর সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষার প্রধান্য দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের ভাষা শক্তিশালী করতে হবে।
আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রাণের ভাষা রক্ষার জন্য একে একে এগিয়ে আসি। যে ভাষায় আমাদের পিপাসা নিবারণ হয় সে ভাষা জীবিত রাখার প্রয়াস করি।